এক্সট্রা মাইল্ড।
এক্সট্রা মাইল্ড।
তাতেই ফুস ফুস থেকে বেসু্রে শব্দ বেরোচ্ছে। পুঁ পুঁ শো শো; এ শব্দ শুনলে যে ডাক্তার তার কান খাড়া করে শুনতেন, তিনি বেঁচে নেই।
ছোট বেলায় শীতলক্ষ্যা-বুড়িগঙ্গার সুতো খালে কুচো চিংড়ি ধরার ছলে খুব করে ডুবাতাম।
চোখ লাল হয়ে যেতো। দু হাত চেপে একটা ছড়া কাটতাম।
'কাউয়া লো, কুলি লো--- তোদের চোখ রাঙা, আমার চোখ দুধের ফোটা।
যতোক্ষন না আরেকজন বলতো 'কালা গাইয়ের ধলা দুধ, হাড়ি ভাংগে ঠাস্ ঠুস ! ততোক্ষণ একই ছড়া।
ভয় পেতাম একজনকেই। আমাদের আম্মা।
----দেখি এই দিকে আয়।
হাত পড়তো কপালে।
সাবাস্। ...জ্বর !
কতক্ষণ ডুবাইছস ?
এর কোন উত্তর নেই। এই উত্তর না দিতে পারাটাই ছিল আমার জন্য বড় শাস্তি। আর কিছু বলতেন না।
আরেকটা শাস্তি অপেক্ষা করতো। ভাত খাওয়া বন্ধ থাকতো তিন দিন। শুধু বার্লি। সাথে পাতি লেবু্র রস, একটু নুন।
রবিনসন্স প্যটেন্ট বার্লির নীল কৌটোটা প্রায়ই হাড়ানো (?) যেতো। আবার পাওয়াও যেতো। সে ক্ষেত্রে জ্বর সেরে যাওয়া পর। সে জন্য আম্মার কোনো অসুবিধে হতো না। " হোমিওপ্যাথি ও পারিবারিক চিকিৎসা" র বই নিয়ে লক্ষন দেখে চিকিৎসা চলতো। বার্লির বিকল্প হতো লাল চালের ভাতের মার।
ভাত খেলেই নাকি টাইফয়েড হয়ে যাবে।
এখন তো ছাই পাশ কত্তো কিছু গিলেই শরীর নস্ট করছি।
ডাক্তাররা নিষেধ করেন; শুনি কই! যার কথা শুনতাম তিনি আজ নেই। চলে গ্যেছেন ।
আর ফিরবেন না কোন দিন। দেখাও হবে না কোনদিন।
আবার হতেও পারে, কে জানে???
No comments:
Post a Comment