Pages

Sunday, November 30, 2014

উইকএ্যন্ড সিন্ড্রোম!


আজ ঘুম ভেংগে গ্যাছে ৫ টায়। সচরাচর সাতটায় উঠি । কিন্তু উইকএ্যন্ড এলেই  এমনটা হয়। আমার এই অকাল ঘুম ভাঙ্গার নাম দিয়েছি উইকএ্যন্ড সিন্ড্রোম!
বেশি ভোরে জাগলে নিকোবিট প্যাচ কাজ করেনা। আমার  সিরোটিনেন  লেভেল খুব নীচে  নেমে যায়; তাই বেশি ভোরে জাগা  ডাক্তারের বারন আছে।
কিন্তু এখন আমার নিকোটিন চাই। পাগল হয়ে যাবো।

এত্তো ভোরে কিচেনে পেয়ে গেলাম একজন। অনেক কিচ্ছুতে আমার লজ্জা। কিন্তু এটার বেলায় নেই কেনো ?  থাকলে লাইফটা আরো একটু  বোধহয় ভাল হতো।
এম্নিতেই ইউরোপে নিরাপদে আছি। সুখ তো আপেক্ষিক। অইটার কথা নাই।
আামি একটু বেশী দিন বাঁচতে চাই। তার পরও মনে হয় আমার লাং এ লুকানো আছে ওটা।
সুপ্ত থাকতে পারে নাকি অনেকদিন। ১০ বছর পরও --- একটা মেডিক্যাল জার্নাল লিখেছে।
 
মৃদু মৃদু দুটো টান। লাং টন টনিয়ে উঠল।
এক সপ্তাহের গ্যাপ। কতোটা হিলিং হয়েছিল। সব নিপাত গেলো।

বেন - হেজস এক্সট্রা মাইল্ড, ৮ মি. গ্রা ! তাতেই এই অবস্থা। কী করে বেশীদিন বাঁচবো ? 
বাঁচাটা কী খুব জরুরী ? 
কী জানি। কখনো মনে হয় হ্যা, আবার কখনো না।
ছাই হবে এতো ভেবে।
শনি রবি দুটো  দিন এভাবেই কাটবে । ঘুম ভাঙ্গবে  খুব ভোরে 
তার পর আবার সেই আলসে বিড়াল।

আজ বাইরে বেড়োতে হবেনা। আর ঠান্ডাও নামতে শু্রু করেছে। গেলো রাতে -১।
সক্কালে মেজাজটা ফু্র ফু্রে ছিল। কিন্তু মন থেকে আসলো অন্য গান।

বেদনার।
ধীর লয়ে গলা ছেড়ে গাইলাম,
অনেক ক্ষণ ---বার বার একই কলি।
কেন বেদনার গান মনে আসলো ? 

এটা নিয়ে ভাবতে বসলাম।

''মন তুমি আমার কাছে কী চাও ?  কী দুঃখ চেপে আছ ?' 
তোমাকে আজও বুঝলাম না।
কী চাও তুমি আমার কাছে ? 
সুখেরও নাকি অসুখ আছে!  হয়তো বা সেই অসুখ।''

'যতো দূরে, দূরে, দূরেই যাবে বন্ধু
একই যন্ত্রণা পাবে,
একই ব্যথা ডেকে যাবে।।
নেভা নেভা  আলো,
যতো বার জ্বালো
ঝড়ো হাওয়া লেগে তার
শিখা  নিভে যাবে

যতো দূরে, দূরে, দূরেই যাবে বন্ধু-----।'

গানটা পূরবী রাগের; গাইতে হয় পড়ন্ত বিকেলে! ? কী অদ্ভুত না!

নাহ, মোটেই বোধ হয়  অদ্ভুত না ; জীবনেরও শেষ আছে
আয়ুর ও পড়ন্ত বিকেল  আছে
হয়তো সে বিকেলের কাছা কাছি  চলে এসেছি!